কৃষ্ণ কান্ত দাশ, স্বরূপকাঠি ॥ হত দরিদ্র পরিবারের এতিম মেয়ে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় বিয়ের ১৩ বছর পার হলেও এখনও অমানবিক নির্যাতন করে ডুবি এলাকার মৃত মতিয়ারের এতিম মেয়ে পারুল আক্তারের(৩০)কে। নারী লোভী আঃ রহমান ডিগ্রি কলেজের নৈশ প্রহরী মোঃ মোস্তফা দিনের পর দিন যৌতুক সহ নানান কায়দায় অজুহাত সৃষ্টি করে সভ্য সমাজের মধ্যে অভদ্রতার আচরণ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। এক ছেলে ও এম মেয়ে নিয়ে ভালোই চলছিল পারুলের সংসার। নারী আসক্ত মোঃ মোস্তফা বিয়ের আগেও বহু নারীর সাথে অনৈতিক কাজ কর্মকরে বিতর্কিত ছিল নিজ এলাকায়। এদিকে গরীব ও হত দরিদ্র পরিবারের এতিম মেয়ে স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বর্তমানে নেছারাবাদ উপজেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। লন্পট চরিত্রের স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ সহ পশুর মত টেনে হিঁচড়ে নির্যাতন করে। স্ত্রী পারুলের স্পর্শ কাতর স্থানেও অমানবিক কায়দায় আঘাত করে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে এতিম মেয়ে পারুল আক্তার। সরেজমিনে স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে হতভাগা পারুলের জবান বন্দি নেন। গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে গত ১৩ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই অদ্যবদি আমার উপর অমানবিক কায়দায় পশুর মত নির্যাতন করে। যৌতুক সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে আমার শরীরটাকে কালো করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রোগীর উপর শারীরিক নির্যাতনের দাগ রয়েছে। দুচার দিন পর রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে বলে জানান।
এদিকে এলাকার চেয়ারম্যান সহ মেম্বার ও কলেজ কতৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছে। বহু বার গ্রাম্য শালিসি হয়েছে। তবে কোন সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। অবশ্য মোস্তফার বাড়ীতে যাওয়া হলেও ঐ সময়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলেই মোস্তফা তেমন ভালো মানুষ নয়। প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীকে অমানবিক কায়দায় মারধর করে। এ ব্যাপারে এলাকার বিজ্ঞ মহল মিডিয়াকে বলেন, আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার মোস্তফার। নারী নির্যাতন মামলায় কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
Leave a Reply